টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার সময় এর আশেপাশে তিনটি জাহাজ ছিল! একটি জাহাজ এর নাম সিম্পসন। এটি টাইটানিক জাহাজ থেকে সাত মাইল দূরে ছিল। ঐ জাহাজের যাত্রীরা টাইটানিক থেকে নিক্ষিপ্ত সাদা স্ফুলিঙ্গ দেখেছিল। টাইটানিকের বিপদ সংকেত পেয়েও সিম্পসন জাহাজ বিপদে এগিয়ে আসেনি কারণ ঐ জাহাজ অবৈধভাবে সিল শিকার করে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা বিপদে এগিয়ে এসে ধরা পড়তে চায়নি বরং তারা উলটো পথে যাত্রা শুরু করল।
.
আরেকটি জাহাজ এর নাম ক্যালিফোর্নিয়া। এটি টাইটানিক থেকে চৌদ্দ মাইল দূরে ছিল। তারাও বিপদ সংকেত সাদা স্ফুলিঙ্গ দেখেছিল কিন্তু জাহাজটি বরফখন্ড দিয়ে ঘেরা ছিল। জাহাজের ক্যাপটেন বাইরের প্রতিকূল এবং অন্ধকার পরিবেশ দেখে নিজেকে বুঝ দিলেন কিছুই হয়নি। তিনি কোন কিছু না করেই বিছানায় চলে গেলেন।
.
সর্বশেষ জাহাজটির নাম কারপাথিয়া। এটি টাইটানিক জাহাজের দক্ষিণ দিকে ৫৮ মাইল দূরে ছিল। জাহাজের ক্যাপটেন যখন রেডিওতে অসহায় মানুষদের কান্না শুনতে পেলেন তখন তিনি তাদের জন্য প্রার্থণা করলেন এবং প্রার্থণা শেষে দ্রুত গতিতে বরফের আস্তরণ ভেঙে এগিয়ে আসলেন। অবশেষে এই জাহাজ ৭০৫ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছিল।
.
উপরের ঘটনা থেকে আমরা আমাদের সমাজের তিন শ্রেণীর মানুষদের দেখতে পাই। কেউ বিপদে পড়লে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজেদের কুকর্ম নিয়ে চিন্তা করে। ধরা পড়ার ভয়ে আর এগিয়ে আসে না বরং সেখান থেকে কেটে পড়ে।
.
দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ হচ্ছে দর্শক। তারা শুধু দেখবে কিন্তু এগিয়ে আসবে না। সর্বশেষ মানুষ হচ্ছে সাহসী মানুষ যারা সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে ঝাপিয়ে পড়বে। বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করবে।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া