সাধক মনের প্রথম যে প্রশ্নটি আসে সেটি হলো-আমি কে? এই অামিকে জানার আগ্রহ সেই প্রাচীনকাল থেকেই। গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিসের Know Thyself থেকে পরবর্তীতে মান আরাফা নাফসাহু ফাক্কাদ আরাফা রাব্বাহু পর্যন্ত সকল মুনি ঋষি সাধু পীর ফকির সকলেরই অদম্য ইচ্ছা এই আমিকে জানার। আর আমিকে জানা হলেই পাওয়া যাবে রবের পরিচয়। কিন্ত্তু রবের পরিচয় পাওয়া কি এতোই সহজ? সেখানে বলা হয়েছে-আল ইনসানু সিররি ওয়া আনা সিররুহু।এই ভেদবিধি জেনেই সত্য উদ্ ঘাটন করতে হবে। তথা বন্ধ দ্বার উন্মুক্ত হলেই মনের দ্বার খুলে যাবে। তখনই পাওয়া যাবে এই মনের ঘরে কে বসত করে? কে কথা বলে? কে খায়? কে ঘুমায়? কে কাজ করে?ঘর সংসার কে করে? পরিবার পরিজন কি? অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে পরিপূর্ণ সত্যটি পাওয়া যাবে।কিন্ত্তু কিভাবে?
বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গীতে।কিরুপে? উপরে দুটি অতি প্রচলিত আয়াত উদ্বৃত্ত করা হয়েছে। একটি হলো-মান আরাফা নাফসাহু ফাক্কাদ আরাফা রাব্বাহু।অন্যটি হলো-আল ইনসানু সিররি ওয়া আনা সিররুহি। এ দুটি আয়াতের ভেদ রহস্য অবগত হলেই আমার পরিচয় পাওয়া যাবে।তাই আমরা প্রথমে আয়াত দুটির বিশ্লেষণ করবো এবং খোজার চেষ্টা করবো আসল সত্যকে।
“মান আরাফা নাফসাহু ফাক্কাদ আরাফা রাব্বাহু”। অর্থ: যে তার নিজের নফসকে জেনেছে সে তার রবকে জেনেছে।অন্যটি হলো “আল ইনসানু সিররি ওয়া আনা সিররুহি”। অর্থ: ইনসান আমার রহস্য আমি রুহের  রহস্য। উপরোক্ত আয়াত সমুহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় নফসকে চিনলে রবকে জানা যায়। আর ইনসানকে জানলে রুহের রহস্য অবগত হওয়া যায়।তাই আমাদের প্রখম জানা দরকার নফস এবং  রবকে। এরপর ইনসান এবং রুহকে।
আলোচ্য সুচিতে প্রথমেই আসি নফস সর্ম্পকে। নফস কি ? নফস হচ্ছে প্রাণ শক্তি। নফসকে আত্নাও বলা হয়। আত্মা বা বীজ হলো প্রাণ শক্তির মূল উৎস। মূল উৎস যেখানে থাকে সে স্থানটিকে বলা হয় মূলাধার। মূল+আধার=মূলাধার। দেহ বস্ত্তুর মূল উপাদান বীর্য। এ বীর্য শক্তি রজ: শক্তির মিলনে হয় জীবের গঠন। যেস্থানে সেটি অবস্থান নেয় সে অবস্থানটির নাম হলো- মাতৃ রেহেম বা জরায়ু। এ জরায়ুতে অব্স্থান কালীন জীবের যে পরিবর্তন সাধিত হয় তা কুরআনে বিধৃত আছে। সংগ্রিহিত