মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেই আমরা বিষণ্ণতা অনুভব করি। এর বেশ কিছু কারন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, যেমন যখন আপনার ফিলিংস অন্যকে বোঝাতে পারেন না বা সে বুঝতে চায় না, কিছু চাওয়া কিছু আশা এ সকল ব্যপার গুলো যখন অন্যকে বোঝাতে ব্যর্থ হন তখনি বিষণ্ণতা চলে আসে।
বিষণ্ণতা আবার বিভিন্ন ধাপের বা প্রকারের হয়:
- প্রেমিক- প্রেমিকার সাথে অমিল ( এক অপরেকে দোষারুপ করা যেটা সন্দেহ থেকে আসে, সন্দেহ না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন কেনো বা কি কারন?)
- ছাত্র-ছাত্রী থাকা কালে পড়াশোনা নিয়ে ব্যর্থ ( মা- বাবা বকাঝকা করে বলে)
- অফিস – আদালতে অহেতুক ভুল বোঝার কারনে
- পাড়া- মহল্লায় প্রতিবেশিদের সাথে গড়মিল
- এছাড়াও নাম জানা না জানা হরেক রকমের বিভন্নতা আমরা দেখতে পাই
নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন:
- আপনি এমন কিছু জানেন, যা অন্য কেও জানে না
- আপনার বেশ কিছু ভালো দিক আছে, যা অন্য কারো নেই
- আপনি দেশের সম্পদ এবং আপনার ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠার সামথ্য আছে
এমন কিছু মানুষ খুজুন:
- যারা আপনাকে সব সময় উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগায়
- পাওয়ার চেয়ে কিছু দেয়ার চিন্তাটাই বেশি করে
- যাদের সাথে সময় কাটিয়ে আপনি কিছু শিখতে পারবেন
- যারা কখনই দেয়া – নেয়া বা মিল করা বিষয়টি মাথায় রাখবে না
যখন একাকি থাকবেন তখন কি করবেন:
- মনে যা আসে তাই লিখুন
- নোকবুকে লেখার অভ্যাস করতে পারে
- আপনার পছন্দের গানগুলো শুনতে পারেন
- বাহিরে ঘুরতে যান এবং নিজের জন্য কিছু কিনুন
- আপনার কাছের মানুষদের সাথে ফোনে কথা বলুন
- ইন্টারনেট ব্যবহার করুন- কমেডি নাকটু বা ছবি দেখুন
- এবং সব সময় নিজেকে ধন্যবাদ দিন, আপনিই বেষ্ট এবং আপনাকে দিয়েই হবে।
সব শেষে বলতে চাই আমরা সব কিছুই বুঝি কিন্তু আপনি বলতে পারেন টিপস মেনে কি বিষন্নতা দূর করা যায়, বা বিষণ্ণতা কেনো হয়… হওয়ার কারন আমরা মানুষ বলে আমাদের অনুভূতি আছে বলে। কাউকো সন্দেহ না করে সরাসরি জানতে চান, বিষণ্ণতা অনেকাংশেই কমে যাবে।